মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন

কলাপাড়ায় দুই কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ, আদালতে মামলা

মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, কলাপাড়া-কুয়াকাটা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার কাগজে সাক্ষর নেয়ার কথা বলে জালিয়াতির মাধ্যমে ৯০ শতাংশ জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে অন্যের নামে হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক আবদুল হাকিম মুসুল্লীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলার আসামীরা হলেন বাউফল উপজেলার মানিক কর্মকার, কলাপাড়ার চিংগড়িয়ার প্রফুল্ল, ষ্টাম্প ভেন্ডার আঃ ছালাম, মহুরী তপন হাওলাদার অন্যতম। জালিয়াতি করা এ জমির বর্তমান মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দলিল লিখক আব্দুল হাকিম মুসুল্লীর সেরেস্তার থাকিয়া ষ্টাম্প ও কাগজপত্র বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো মামলার প্রথম চার আসামী। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে হাকিম মুছুল্লী ব্রেন ষ্ট্রোক করে ডান সাইট প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হলে একাধিক বিরোধীয় জমির মামলা পরিচালনার জন্য মানিক কর্মকার, আঃ ছালাম ও তপন হাওলাদার তাদের নামে দুইটি আমমোক্তার নাম লিখে নেয়। তাতে দলিল লিখক ও আমমোত্তার নামার দাতা হিসেবে হাকিম মুছুল্লীর সাক্ষর নেয়।

গত ২৫ জুন ২০২৩ ও ২৪ আগষ্ট ২০২৩ তারিখে দুটি আমমোক্তারনামা দলিল ৩৫০৯/২০২৩ ও ৪৫৫৮/২০২৩ নং দলিল আসামীরা যোগসাজসে মানিক কর্মকার, আঃ ছালাম ও তপন হাওলাদার তাদের নামে গৃহীতা দেখাইয়া খেপুপাড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রি তরে গোপন করে রাখে। মামলার বলা হয়, জমির মালিক আবদুল হাকিম মুছুল্লীর অসুস্থতার সুযোগে দুই মাসের মধ্যে আসামীরা আমমোক্তারনামা দলিলের (৩৫০৯/২০২৩ ও ৪৫৫৮/২০২৩) ৯০ শতাংশ জমি উপরোক্ত তিন আসামী তাদের স্বজনদের নামে সাব কবলা দলিল মূলে সম্পাদন করে রেজিষ্ট্রি করে রাখে।

মামলার জাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, কলাপাড়ার বাদুরতলী মৌজার বিএস ২০৬৮ ও ২০৬৯ খতিয়ানের ৯০ শতাংশ জমির বর্তমান মূল্য দুই কোটি টাকা। জালিয়াতির বিষয়টি আসামীদের কাছে জানতে চাইলে জমি ফিরে পেতে তাদের কাছে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারলে জমি অন্যত্র বিক্রির হুমকি দেয়।

জাজিদুল ইসলাম ও তাদের স্বজনদের দাবি, তারা এলাকায় না থাকার সুযোগে মামলার আসামীরা তার অসুস্থ্য বৃদ্ধ পিতার সাথে প্রতারণা করে তাদের নিঃস্ব করে এখন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করছে। এ কারণে তার বৃদ্ধ পিতা আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তবে মামলার চার নং আসামী তপন চন্দ্র হাওলাদার প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এমনকি এ বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় কোন কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com